নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীর দুর্গাপুরে আলুচাষিরা খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছর কনকনে ঠান্ডা সত্ত্বেও এখনো আলুগাছে নাবি ধসা (লেট ব্লাইট) এবং কাণ্ড পচা রোগ দেখা দেয়নি। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত কুয়াশা না থাকায় চাষিরা ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন।
দুর্গাপুরে আগের বছরগুলোতে এ সময়ে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বিস্তীর্ণ এলাকার আলুখেতে মারাত্মক নাবি ধসা ও কাণ্ড পচা রোগের প্রকোপ দেখাতে দিত। এবার এখন পর্যন্ত খেত রোগমুক্ত ও নিরাপদ রয়েছে বলে কৃষি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
উপজেলায় গত বছর আলুচাষিদের লোকসান হলেও এ বছর রেকর্ড পরিমাণ জমিতে ফসলটির চাষ হয়েছে।
দুর্গাপুর কৃষি অফিস জানায়, এবার ২ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে, যা গত বছর ছিল ১ হাজর ৯৮০ হেক্টর। এ বছর উপজেলায় আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৫ হাজার ১২০ মেট্রিক টন। গত বছর এটি ছিল ৫১ হাজার ৪৮০ মেট্রিক টন।
চাষিরা জানান, পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত ভালো থাকলেও সামনের দিনগুলোতে শৈত্যপ্রবাহ হলে আলু খেতের ক্ষতি হতে পারে। যাঁরা মৌসুমের শেষের দিকে চাষ করেছেন তাঁরা এ নিয়ে শঙ্কায় আছেন। তবে মৌসুমের প্রথম দিকে যাঁরা আগাম আলু লাগিয়েছেন তাঁদের খুব একটা দুশ্চিন্তা নেই।
দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের আবদুস সামাদ বলেন, ‘উচ্চ দামে আলু বীজ কিনে প্রায় এক হেক্টর জমিতে চাষ করেছি। গাছের পরিপক্বতা দেখে খুব ভালো মনে হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে এবার গতবারের চেয়ে লাভের অঙ্ক একটু বেশি হবে।’
হাটকান পাড়া এলাকার আশরাফ উদ্দিন জানান, গতবার আলুতে ব্যাপক লোকসান হয়েছে। তবুও আবাদ ছাড়েননি। মাঠে প্রায় ২০ বিঘা জমিতে আলু রয়েছে তাঁর।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, এবার তীব্র কুয়াশা না থাকায় এখন পর্যন্ত খেত রোগমুক্ত রয়েছে। বাকি সময়টুকু আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উপজেলায় ভালো ফলন হবে। খেত পরিচর্যায় মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক আলুচাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।