দুর্গাপুর প্রতিনিধি :
রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ)। উপজেলা সদরের দুর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
সম্মেলনকে সামনে রেখে গোটা উপজেলা ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে। নির্মাণ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের সুদৃশ্য তোরণ। এখানে সবার আগ্রহ কে হচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক? এ বিষয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দাবি, কেন্দ্র থেকে এসএমএসের মাধ্যমে নয়, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে দুর্গাপুর উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হোক।
জানা গেছে, দীর্ঘ ৮ বছর পর দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন ঘিরে আগেই উপজেলার সাত ইউনিয়ন ও দুর্গাপুর পৌরসভায় কাউন্সিলের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগে পছন্দের নেতাদের সম্মানজনক পদে দেখতে অনেক কর্মী সাঁটিয়েছেন ব্যানার ফেস্টুন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে চলে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। তবে ত্যাগী নেতাদের প্রাধান্য দেবার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদ এমপি।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার বলেন, সম্মেলনকে ঘিরে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘ ৮ বছর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভেদাভেদ ভুলে নতুন কমিটি করে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারও সভাপতি হতে চান বর্তমান কমিটির সভাপতি, দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম। স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমানও উপজেলা কমিটির সভাপতি হতে চান। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও দুর্গাপুর পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ও আমিনুল হক টুলু সাধারণ সম্পাদক হতে চান।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান অসুস্থ। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে থাকা তার পক্ষে সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে বর্তমান সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামই ফিট সভাপতি প্রার্থী। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল হক টুলু হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। তাকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো ঠিক হবে না।
তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, টিআর-কাবিখা নিয়ন্ত্রণ, ঠিকাদারদের কাছে চাঁদাবাজিসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হুমকি-ধামকির গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেনই উপযুক্ত বলে মনে করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দাবি, কেন্দ্র থেকে এসএমএসের মাধ্যমে নয়, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে দুর্গাপুর উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হোক।
বর্তমান সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন জানান, আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সভাপতি-সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছি। সভাপতি নির্বাচিত হতে পারলে উপজেলা আওয়ামী লীগের চলমান কোন্দল মিটিয়ে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবো।